ভোগান্তির নামই শাহজালাল

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি ও ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে কাস্টমসের হাতে। গ্রিন চ্যানেল বলে কিছু নেই বিমানবন্দরে। সব যাত্রীকে সিঙ্গেল লাইনে দাঁড় করিয়ে স্ক্যানিং করা হচ্ছে মালামাল। অনেক সময় ব্যাগ খুলে সব মালপত্র বের করে হয়রানি করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকা-কানাডার মতো দূরের দেশ থেকে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি নিয়ে লাগেজ পেতেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তিন-চার ঘণ্টা। ৪০০-৫০০ যাত্রীকে একজন একজন করে পরীক্ষা করায় ভয়াবহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়া পর্যন্ত পদে পদে চলতে থাকে ভোগান্তি।

 

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, শাহজালালে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় কাস্টমস হল পার  হওয়ার সময়। দুই-তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাস্টমস হল পেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় আরেক দফা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ভাড়ায় চালিত গাড়ি এবং সিএনজি অটোরিকশার দাপটে যাত্রীদের জন্য আসা গাড়িগুলো বিমানবন্দর এলাকায় ঢুকতে দীর্ঘ লাইনে পড়ে। যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে টানাটানি শুরু করে রেন্ট-এ কারের চালকরা। গাড়ি পার্কিং এরিয়াসহ যত্রতত্র বসানো হয়েছে ¯যাকসের দোকান। সেখানে ছিনতাইকারী, মাদকসেবীসহ নানা অপরাধীর ভিড় লেগেই থাকে। বিশ্বের কোনো বিমানবন্দরে এমন চিত্র দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, এসব স্পর্শকাতর এলাকায় দোকান বসানোয় ঝুঁকি বেড়েছে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রবেশ-বের হওয়ার পথে এ ধরনের দোকান বসানোর ঘটনা নজিরবিহীন। অনেক সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিছু মহলের ব্যবসায়িক লাভের জন্য নিয়মনীতি ছাড়াই এসব দোকান বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুরো বিমানবন্দর অপরিচ্ছন্ন। টয়লেটগুলো নোংরা। এর সঙ্গে মশা, মাছি, ইঁদুরের উৎপাত তো আছেই। বারবার অভিযোগ করেও লাভ হয় না। লোকদেখানো পরিষ্কার করলেও কয়েক দিনের মধ্যে আবারও আগের অবস্থায় ফিরে আসে বিমানবন্দর। এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সারা বিশ্বের বিমানবন্দর গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ে এগিয়ে যায়, আর আমাদের ক্ষেত্রে এরূপ পশ্চাদগমন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যাত্রী হয়রানির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আদায় স্বার্থান্বেষী মহলের মূল উদ্দেশ্য কি না- এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিমানবন্দরে কাস্টমসের ভোগান্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যা বেশি ফ্লাইট নামায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। প্রত্যেক যাত্রীকে ভারী লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে তুলতে হয় আবার নামাতে হয়। বয়স্ক ব্যক্তি, নারী-শিশুদেরও একইভাবে ল্যাগেজ ওঠা-নামা করতে হয়। দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ লাইনে। এসব নিয়ে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষোভ বেশি।

 

তারা বলছেন, এখন অবধি ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকা থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে অসংগতি ধরা পড়েনি। দীর্ঘ ২৪-৪৮ ঘণ্টা ভ্রমণের পর লাগেজের লাইনে দাঁড়ানো কষ্টকর। সারা বিশ্বের বিমানবন্দরে গ্রিন চ্যানেল থাকলেও এখানে নেই। সব যাত্রীকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আগত যাত্রীরা বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ব্যবহার ছিল জঘন্য। তারা প্রায়শই যাত্রীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। কেন এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হচ্ছে তা কারও কাছেই বোধগম্য নয়।

 

এক হিসেবে দেখা গেছে, বিমানবন্দরে উদ্ধার হওয়া বেশির ভাগ স্বর্ণই পরিত্যক্ত অবস্থায় ধরা পড়ে, যে কারণে প্রশ্নবিদ্ধ কাস্টমসের নিরাপত্তা সক্ষমতা। মাঝে মাঝে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত কিছু যাত্রীর কাছে স্বর্ণের বার ধরা পড়লেও ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরা সব যাত্রীকে কেন হয়রানি করা হচ্ছে তার সদুত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের কাছে।

 

এ ব্যাপারে শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, তিনটি গ্রিন চ্যানেল আছে। সবাইকে সেখান দিয়েই আসতে হয়। যাত্রীদের স্ক্যানিংয়ের দায়িত্ব কাস্টমসের। তারা তাদের প্রসিডিউর অনুযায়ী করে। সবাইকে পরীক্ষা করার কথা না। কারও ডিকলারেশন থাকলে ট্যাক্সের টাকা জমা দিয়ে সরাসরি গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন। কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি যাতে দ্রুত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্যান শেষ করে বিমানবন্দর ত্যাগের সুযোগ করে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ভোগান্তি কমাতে আমরা ব্যাংকের কাউন্টার বাড়িয়ে দিয়েছি, যাতে যাত্রী ট্যাক্সের টাকা দ্রুত জমা দিয়ে বের হতে পারে। একসঙ্গে বেশি ফ্লাইট এলে সমস্যা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে বেশি মানুষ থাকে। তাই সময় বেশি লাগে। এই কর্মকর্তার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে গতকাল কানাডাফেরত মাসুম বলেন, বিমানবন্দরে ভয়াবহ হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কোনো গ্রিন চ্যানেল তিনি দেখতে পাননি। আলাদা করা নেই রেড বা গ্রিন চ্যানেল। তার ডিকলারেশন থাকলেও ৪০০-৫০০ মানুষের সঙ্গে এক লাইনে দাঁড় করিয়েই স্ক্যানিং করা হয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিতর্কিত তিন নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি হচ্ছে

» যখন প্রবাসীদের ভোটের প্রশ্ন আসে, তখন মুখে কুলুপ কেন? জানতে চান সারজিস

» ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

» সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

» সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে নির্বাচন দিতে হবে: ড. শফিকুল ইসলাম

» মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি: আসিফ মাহমুদ

» সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

» পলাশে ছাত্রদলের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল  অভিযুক্ত জুয়েল বাহিনীকে গ্রেপ্তার দাবি

» প্রাইম ব্যাংক ও সার্টো ও স্যুট এক্সপ্রেস-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

» বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে : মঈন খান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ভোগান্তির নামই শাহজালাল

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি ও ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে কাস্টমসের হাতে। গ্রিন চ্যানেল বলে কিছু নেই বিমানবন্দরে। সব যাত্রীকে সিঙ্গেল লাইনে দাঁড় করিয়ে স্ক্যানিং করা হচ্ছে মালামাল। অনেক সময় ব্যাগ খুলে সব মালপত্র বের করে হয়রানি করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকা-কানাডার মতো দূরের দেশ থেকে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি নিয়ে লাগেজ পেতেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তিন-চার ঘণ্টা। ৪০০-৫০০ যাত্রীকে একজন একজন করে পরীক্ষা করায় ভয়াবহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়া পর্যন্ত পদে পদে চলতে থাকে ভোগান্তি।

 

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, শাহজালালে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় কাস্টমস হল পার  হওয়ার সময়। দুই-তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাস্টমস হল পেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় আরেক দফা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ভাড়ায় চালিত গাড়ি এবং সিএনজি অটোরিকশার দাপটে যাত্রীদের জন্য আসা গাড়িগুলো বিমানবন্দর এলাকায় ঢুকতে দীর্ঘ লাইনে পড়ে। যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে টানাটানি শুরু করে রেন্ট-এ কারের চালকরা। গাড়ি পার্কিং এরিয়াসহ যত্রতত্র বসানো হয়েছে ¯যাকসের দোকান। সেখানে ছিনতাইকারী, মাদকসেবীসহ নানা অপরাধীর ভিড় লেগেই থাকে। বিশ্বের কোনো বিমানবন্দরে এমন চিত্র দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, এসব স্পর্শকাতর এলাকায় দোকান বসানোয় ঝুঁকি বেড়েছে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রবেশ-বের হওয়ার পথে এ ধরনের দোকান বসানোর ঘটনা নজিরবিহীন। অনেক সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিছু মহলের ব্যবসায়িক লাভের জন্য নিয়মনীতি ছাড়াই এসব দোকান বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুরো বিমানবন্দর অপরিচ্ছন্ন। টয়লেটগুলো নোংরা। এর সঙ্গে মশা, মাছি, ইঁদুরের উৎপাত তো আছেই। বারবার অভিযোগ করেও লাভ হয় না। লোকদেখানো পরিষ্কার করলেও কয়েক দিনের মধ্যে আবারও আগের অবস্থায় ফিরে আসে বিমানবন্দর। এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সারা বিশ্বের বিমানবন্দর গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ে এগিয়ে যায়, আর আমাদের ক্ষেত্রে এরূপ পশ্চাদগমন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যাত্রী হয়রানির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আদায় স্বার্থান্বেষী মহলের মূল উদ্দেশ্য কি না- এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিমানবন্দরে কাস্টমসের ভোগান্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যা বেশি ফ্লাইট নামায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। প্রত্যেক যাত্রীকে ভারী লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে তুলতে হয় আবার নামাতে হয়। বয়স্ক ব্যক্তি, নারী-শিশুদেরও একইভাবে ল্যাগেজ ওঠা-নামা করতে হয়। দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ লাইনে। এসব নিয়ে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষোভ বেশি।

 

তারা বলছেন, এখন অবধি ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকা থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে অসংগতি ধরা পড়েনি। দীর্ঘ ২৪-৪৮ ঘণ্টা ভ্রমণের পর লাগেজের লাইনে দাঁড়ানো কষ্টকর। সারা বিশ্বের বিমানবন্দরে গ্রিন চ্যানেল থাকলেও এখানে নেই। সব যাত্রীকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আগত যাত্রীরা বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ব্যবহার ছিল জঘন্য। তারা প্রায়শই যাত্রীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। কেন এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হচ্ছে তা কারও কাছেই বোধগম্য নয়।

 

এক হিসেবে দেখা গেছে, বিমানবন্দরে উদ্ধার হওয়া বেশির ভাগ স্বর্ণই পরিত্যক্ত অবস্থায় ধরা পড়ে, যে কারণে প্রশ্নবিদ্ধ কাস্টমসের নিরাপত্তা সক্ষমতা। মাঝে মাঝে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত কিছু যাত্রীর কাছে স্বর্ণের বার ধরা পড়লেও ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরা সব যাত্রীকে কেন হয়রানি করা হচ্ছে তার সদুত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের কাছে।

 

এ ব্যাপারে শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, তিনটি গ্রিন চ্যানেল আছে। সবাইকে সেখান দিয়েই আসতে হয়। যাত্রীদের স্ক্যানিংয়ের দায়িত্ব কাস্টমসের। তারা তাদের প্রসিডিউর অনুযায়ী করে। সবাইকে পরীক্ষা করার কথা না। কারও ডিকলারেশন থাকলে ট্যাক্সের টাকা জমা দিয়ে সরাসরি গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন। কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি যাতে দ্রুত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্যান শেষ করে বিমানবন্দর ত্যাগের সুযোগ করে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ভোগান্তি কমাতে আমরা ব্যাংকের কাউন্টার বাড়িয়ে দিয়েছি, যাতে যাত্রী ট্যাক্সের টাকা দ্রুত জমা দিয়ে বের হতে পারে। একসঙ্গে বেশি ফ্লাইট এলে সমস্যা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে বেশি মানুষ থাকে। তাই সময় বেশি লাগে। এই কর্মকর্তার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে গতকাল কানাডাফেরত মাসুম বলেন, বিমানবন্দরে ভয়াবহ হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কোনো গ্রিন চ্যানেল তিনি দেখতে পাননি। আলাদা করা নেই রেড বা গ্রিন চ্যানেল। তার ডিকলারেশন থাকলেও ৪০০-৫০০ মানুষের সঙ্গে এক লাইনে দাঁড় করিয়েই স্ক্যানিং করা হয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com